অতিসম্প্রতি রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের পর আজই ছিল নতুন বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। কিন্তু এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল না রাজ্য বিজেপির কোন বিধায়ক। বিজেপি বিধায়কদের অনুপুস্থিতিতে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তিনি বলেন, ‘ওরা যখন মর্জি আসে, যখন মর্জি আসে না’। বিধানসভাটাকে বিধানসভা বলে মনে করে না বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুপস্থিত বিধায়কদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘যাদের থাকার কথা, তারা আজ নেই। গণতন্ত্রের রীতি, হেরে গেলেও জয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানো। কিন্তু ওরা ও সব মানে না। ওরা অ্যাসেম্বলিটাকে অ্যাসেম্বলি বলে মনেই করে না। ওদের জন্য মর্মবেদনা হয়, তবে দুঃখ হয় না, ওদের এটাই রীতি। ‘
এ দিন চার বিধায়ককে অভিনন্দন জানানোর সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘আমাদের সরকারই একমাত্র যারা কথা দিয়ে কথা রাখে। কেউ কেউ আচ্ছে দিন বলেন, বুরে দিন চলে আসে।’
এই প্রসঙ্গে এ দিন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘বিরোধীরা তো ওনার মতো বিধানসভায় ভাঙচুর করেননি। তিনি যে ভাবে সবার সামনে ভাঙচুর করেছিলেন, তা তো করেনি।’ বিজেপি নেতার দাবি, বিধানসভায় বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হয় না, বিরোধীদের আক্রমণ করা হয়। আর আজ আসেনি বলে অনুতাপ হচ্ছে?
তৃণমূল বিধায়কদের বিধানসভায় ভাঙচুরের কথা মনে করিয়ে দিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘সে দিন উনি বিধানসভার সদস্য ছিলেন না। ওনার দলের লোকেরা ভাঙচুর করেছিল। তখন তো অনুতাপ করেননি। বিজেপি নেতার আরও দাবি, বিরোধী দলনেতাকে ডেকে আলোচনা করা দরকার, বিরোধীদের মর্যাদা দিয়ে বিধানসভা চালানো যায়।’
এ দিন শপথ নেন বিধায়ক দিনহাটার উদয়ন গুহ, গোসাবার সুব্রত মণ্ডল, শান্তিপুরের ব্রজকিশোর গোস্বামী এবং খড়দহ থেকে নির্বাচিত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এ দিন শপথের পর মমতা জানান, আগামী ১৭ নভেম্ব থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে দুয়ারে রেশন। বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিন ও চার চাকার গাড়ি কিনতে ডিলারদের ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই গাড়িই পৌঁছে যাবে পাড়ায় পাড়ায়। এমনকী গাড়ির দামের ২০ শতাংশ বা সর্বাধিক ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি মিলবে বলেও জানান মমতা।