প্রথম পর্ব
কলকাতা শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অছে অসংখ্য রাজবাড়ী বা জমিদার বাড়ি যার মধ্যে কয়েকটি বেশ হন্টেড মানে যাকে বলে ভৌতিক। এমন সব ভৌতিক বনেদি বাড়ির ইতিহাস নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে চলবে এই বিশেষ সিরিজ। আজ শুরুতেই কলকাতার পুতুল বাড়ি।
শোনা যায় এক সময় বাড়িটিতে এক বড়লোক মনিব বাস করতেন। তিনি নাকি বেজায় অত্যাচারী ছিলেন। তার ভৃত্যরা সদা তার ভয়ে আতঙ্কিত থাকতো। একাধিক বার নাকি তার নির্দেশে হত্যা করা হয় একাধিক নিরীহ অসহায় ভৃত্যকে এবং হত্যার পর বাড়ির আসে পাশে কোথাও তাদের দেহ গুম করে দেয়া হয়।তাদের অতৃপ্ত আত্মা নাকি আজও বাড়ির আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আজও নাকি মাঝে মাঝে রাতে মেয়েলি কণ্ঠের অশরীরীদের কান্নার শব্দ শোনা যায় স্থানীয়দের ধারণা পুতুলবাড়ীতে অশরীরী আত্মার আনাগোনার জন্য রাতে ওই স্থান বেশ ভয়ের হয়ে যায়। কাছে ঘেঁষতে চায়না কেউ তেমন।
যে বাড়ির কথা বললাম তা কলকাতা শহরের আহিরিটোলায় অবস্থিত।বাড়ির দোতলা ও ছাদজুড়ে রয়েছে বিচিত্র সব পুতুলের মূর্তি।সম্ভবত সেই থেকেই নাম পুতুল বাড়ি।
বাড়ির ইতিহাস সম্পর্কে যে হাড় হিম করা ঘটনা গুলি শোনা যায় তার বেশি ভাগ্ই জনশ্রুতি বা মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত কিছু কল্প কাহিনীও হতে পারে কারন প্রামান্য নথি কিছু নেই।তবে বাড়িটির বর্তমান অবস্থা ও পরিবেশ বেশ রহস্যময় ও ভয় জাগানো।বাড়ি নিয়ে বাংলা সাহিত্যে কিছু ভয়ঙ্কর গা ছম ছমে গল্প রয়েছে। এটা কলকাতা শহরের সবচেয়ে রহস্যজনক স্থানগুলির অন্যতম।
চলবে এই ধারাবাহিক লেখা। আবার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে ফিরে আসবো যথা সময়ে। পড়তে থাকুন।